পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি : পর্বসংখ্যা-৩২, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
প্রথম অধ্যায় : আকাইদ-বিশ্বাস- মো: মাছুদুল আমীন শাহীন, অধ্যক্ষ, শাহীন ক্যাডেট স্কুল, টাঙ্গাইল
- ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০৫
প্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ‘প্রথম অধ্যায় : আকাইদ-বিশ্বাস’ থেকে আরো ২টি বর্ণনামূলক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন : পানি কার দান? কোথা থেকে পানি পাই বর্ণনা দাও।
উত্তর : পানি জীবনের জন্য অপরিহার্য। পানি আল্লাহর অমূল্য দান। এ পানি আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে পেয়ে থাকি। যেমন-
১. মেঘ-বৃষ্টি : সূর্যের প্রখর তাপে প্রতিদিন নদনদী, খাল-বিল, সাগর-মহাসাগরের পানি বাষ্পে পরিণত হয়। এ বাষ্প বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এরপর আস্তে আস্তে ঘনীভূত হতে থাকে এবং মেঘে পরিণত হয়। এ মেঘ থেকেই পানি বৃষ্টির আকারে ঝরে পড়ে।
২. নদ-নদী : নদ-নদীর প্রবহমান ধারা থেকে আমরা পানি পেয়ে থাকি।
৩. খালবিল : খালবিল আমাদের পানির অন্যতম উৎস।
৪. পুকুর-ডোবা : পুকুর-ডোবা থেকেও আমরা প্রয়োজনীয় পানি পেয়ে থাকি।
৫. সাগর-মহাসাগর : পৃথিবীতে পানির সর্ববৃহৎ আধার হলো সাগর-মহাসাগর।
৬. কূপ ও নলকূপ : ভূপৃষ্ঠের ওপর মানুষ বাস করে। চাষাবাদ করে। সে ভূপৃষ্ঠের কিছু নিচেই পানির বিশাল ভাণ্ডার। আমরা মাটির নিচে জমে থাকা পানি কূপ ও নলকূপের সাহায্যে পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন : নবী-রাসূলগণের জীবনের লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর : নবী ও রাসূলগণের জীবনের লক্ষ্যগুলো নিচে উপস্থাপন করা হলো-
১. মানুষের জীবন মঙ্গলময় করা ও মানুষের কল্যাণ সাধন করা ছিল নবী-রাসূলগণের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।
২. নবী-রাসূলগণ মানুষকে আল্লাহ তায়ালার অনুগত বান্দা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারা জীবন কাজ করে গেছেন।
৩. নবী-রাসূলগণের জীবনের আর একটি লক্ষ্য ছিল মানুষকে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি পালনে অভ্যস্ত করা।
৪. আল্লাহর নির্দেশিত পথে মানুষকে চলতে আগ্রহী করেছেন নবী-রাসূলগণ।
৫. আল্লাহ তায়ালার অপছন্দনীয় কাজ তথা শয়তানের প্রিয় কাজগুলো থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য নবী-রাসূলগণ সব সময় চেষ্টা করে গেছেন।
৬. নবী-রাসূলগণ মানুষের চরিত্রকে সৎ ও কলুষমুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য বিশেষ জোর দিয়েছিলেন।
৭. সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নবী-রাসূলগণ কঠোর সংগ্রাম করে গেছেন।
৮. নবী-রাসূলগণ মানুষকে পরকালীন জীবন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে গেছেন।
৯. নবী-রাসূলগণ আল্লাহ সম্পর্কে বিস্তারিত যে ধারণা প্রচার করেছেন, তা হলো- তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।
১০. নবী-রাসূলগণ বৈধ-অবৈধ বা হালাল-হারাম এবং জায়েজ-নাজায়েজ বিষয় মেনে চলার শিক্ষা দিয়েছেন।